শ্রীশ্রী রামঠাকুর শ্রীশ্রী সত্যনারায়ণ। তাঁকে উদ্দেশ্য করে শ্রীশ্রী
সত্যনারায়ণ পূজা করলে তাঁর জীবদ্দশায় বা বর্তমানে ও ছদ্মবেশে উপস্থিত হয়ে
নিবেদিত প্রসাদ গ্রহণ করেন। তার একটি প্রমান হলো -
শ্রীশ্রী রামঠাকুর বিক্রমপুরে (বাংলাদেশ) জনৈক ভক্তের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। একদিন তাঁর আশ্রিত শ্রী দিগেন্দ্র নাথ ঘোষাল, শ্রীশ্রী রামঠাকুরকে তাঁর বাড়িতে শ্রীশ্রী সত্যনারায়ণ পূজায় উপস্থিত থাকতে নিমন্ত্রণ করেন এবং নিজে এসে শ্রীশ্রী রামঠাকুরকে নিয়ে যাবেন বলে জানান দেন। ইহা শোনে শ্রীশ্রী রামঠাকুর বলেন যে, তাকে আসতে হবেনা না। তিনি নিজেই যেতে পারবেন। ইহা শোনে দিগেন্দ্রবাবু চলে যান এবং শ্রীশ্রী রামঠাকুরের কথা মনে করতে করতে যথাসময়ে পূজার আয়োজন করে শ্রীশ্রী রামঠাকুরের উপস্থিতির জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। এমন সময় এক বৃদ্ধ ভিখারী এসে প্রসাদ পেতে পিড়াপিরি করতে থাকে। তখন ও পূজা হয়নি। তবু দিগেন্দ্রবাবু নিবেদিত ভোগের অগ্রভাগ সরিয়ে রেখে বাকি অংশ দিয়ে সিন্নি তৈরী করে ভক্তি সহকারে ঐ ভিখারীকে দেন। প্রসাদ পেয়ে ভিখারী তৃপ্তি সহকারে চলে যায়। শ্রীশ্রী রামঠাকুর স্বাভাবিক ভাবে ঐ দিন দিগেন্দ্রবাবুর আয়োজিত পূজায় যোগদান করেননি। ফলে দিগেন্দ্রবাবু দুঃখিত হন এবং পরের দিন শ্রীশ্রী রামঠাকুরকে তাঁর না যাওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে শ্রীশ্রী রামঠাকুর বলেন যে তিনি বৃদ্ধ ভিখারী রূপে শ্রীশ্রী সত্যনারায়ণ পূজায় সিন্নি তৃপ্তি সহকারে গ্রহণ করেছিলেন। ইহা শোনে দিগেন্দ্রবাবু লাঠিবত শ্রীশ্রী রামঠাকুরকে প্রনাম করে আনন্দিত হন।
এই ঘটনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে শ্রীশ্রী রামঠাকুর শ্রীশ্রী সত্যনারায়ণ পূজায় ছদ্মবেশে উপস্থিত হন। বিনয়ের সহিত শ্রীশ্রী সত্যনারায়ণ প্রসাদ বিতরণ করলে শ্রীশ্রী রামঠাকুর সন্তুষ্ট হন।
শ্রীশ্রী রামঠাকুর বিক্রমপুরে (বাংলাদেশ) জনৈক ভক্তের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। একদিন তাঁর আশ্রিত শ্রী দিগেন্দ্র নাথ ঘোষাল, শ্রীশ্রী রামঠাকুরকে তাঁর বাড়িতে শ্রীশ্রী সত্যনারায়ণ পূজায় উপস্থিত থাকতে নিমন্ত্রণ করেন এবং নিজে এসে শ্রীশ্রী রামঠাকুরকে নিয়ে যাবেন বলে জানান দেন। ইহা শোনে শ্রীশ্রী রামঠাকুর বলেন যে, তাকে আসতে হবেনা না। তিনি নিজেই যেতে পারবেন। ইহা শোনে দিগেন্দ্রবাবু চলে যান এবং শ্রীশ্রী রামঠাকুরের কথা মনে করতে করতে যথাসময়ে পূজার আয়োজন করে শ্রীশ্রী রামঠাকুরের উপস্থিতির জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। এমন সময় এক বৃদ্ধ ভিখারী এসে প্রসাদ পেতে পিড়াপিরি করতে থাকে। তখন ও পূজা হয়নি। তবু দিগেন্দ্রবাবু নিবেদিত ভোগের অগ্রভাগ সরিয়ে রেখে বাকি অংশ দিয়ে সিন্নি তৈরী করে ভক্তি সহকারে ঐ ভিখারীকে দেন। প্রসাদ পেয়ে ভিখারী তৃপ্তি সহকারে চলে যায়। শ্রীশ্রী রামঠাকুর স্বাভাবিক ভাবে ঐ দিন দিগেন্দ্রবাবুর আয়োজিত পূজায় যোগদান করেননি। ফলে দিগেন্দ্রবাবু দুঃখিত হন এবং পরের দিন শ্রীশ্রী রামঠাকুরকে তাঁর না যাওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে শ্রীশ্রী রামঠাকুর বলেন যে তিনি বৃদ্ধ ভিখারী রূপে শ্রীশ্রী সত্যনারায়ণ পূজায় সিন্নি তৃপ্তি সহকারে গ্রহণ করেছিলেন। ইহা শোনে দিগেন্দ্রবাবু লাঠিবত শ্রীশ্রী রামঠাকুরকে প্রনাম করে আনন্দিত হন।
এই ঘটনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে শ্রীশ্রী রামঠাকুর শ্রীশ্রী সত্যনারায়ণ পূজায় ছদ্মবেশে উপস্থিত হন। বিনয়ের সহিত শ্রীশ্রী সত্যনারায়ণ প্রসাদ বিতরণ করলে শ্রীশ্রী রামঠাকুর সন্তুষ্ট হন।
শ্রীশ্রী রামঠাকুরের অলৌকিক কার্যকলাপ (দ্বিতীয় খন্ড)
শ্রী হরেকৃষ্ণ পাল
পৃষ্ঠা: ৩৮
শ্রী হরেকৃষ্ণ পাল
পৃষ্ঠা: ৩৮
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন