একবার এক অশিতি-প্রায় বৃদ্ধা একটি বাস্তব ঘটনার কথা বলেছেন। একদিন উত্তর
পাড়ার মেথর পল্লীতে হঠাত আগুন লেগে যায়। মুহুর্তের মধ্যে আগুন ভয়াবহ রূপ
ধারণ করে। দরিদ্র মেথরদের ঘরগুলি পুড়ে ভষ্মীভূত হয়ে যাচ্ছে অথচ অস্পৃশ্য
বলে কেউই আগুন নেভাতে যাচ্ছে না। ঠাকুর এই করুন দৃশ্য দেখে ও আর্তনাদ শুনে
তৎ ক্ষনাৎ গঙ্গা থেকে কলসী ভরে জল এনে আগুন নেভানোয় ব্যস্ত হয়ে পড়লেন।
ঠাকুরের এই দৃশ্য দেখে,জাত্যাভিমান ভুলে সকলেই ঠাকুরের সাথে আগুন নেভানোর
কাজে নেমে পড়লেন। সকলেই অবাক বিস্ময়ে দেখতে লাগলো যে আগুন দমকলের
সাহায্যে নেভানো দুঃসাধ্য তা ঠাকুরের হাতে ছিটিয়ে দেওয়া শান্তি বারিতেই
শান্ত হয়ে গেল। যেখানেই ঠাকুর জল সিঞ্চন করেন, সেখানেই আগুন শান্ত হয়ে নিভে
যায়। সেদিন থেকে ঠাকুরের নাম হল "দয়াল ঠাকুর" বা "দয়াময় ঠাকুর।" ঐ আগুন
নেভানোর সময় ঠাকুর পিচ্ছিল রাস্তায় পড়ে গিয়ে হাটুতে ব্যথা পান। সেই ব্যথা
দীর্ঘদিন ঠাকুরের হাটুতে প্রকট ছিল।
ছবিতে রামঠাকুর(দ্বিতীয় খন্ড)
মহানন্দ দাশ
পৃষ্ঠা: ১৭
ছবিতে রামঠাকুর(দ্বিতীয় খন্ড)
মহানন্দ দাশ
পৃষ্ঠা: ১৭
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন