ঠাকুর পদ্মাসনে বসে আছেন। সাথে ছিলেন জনৈক সেবক। নাম লিখে লিখে একে একে নাম
দেওয়া শুরু হল। গুরুদেবের চরণে নাম প্রাপ্তরা ফলমূল ও যা যা সম্ভব গুরু
দক্ষিনা দিয়ে পাদস্পর্শ করে একে একে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। বাইরে একটি কুকুর
ঠান্ডায় বার বারই কেঁদে উঠছিল। নমস্কার করে নাম নিয়ে এক শিষ্য চলে
যাচ্ছিলেন। ঠাকুরের হৃদয়ে প্রচন্ড আলোড়ন সৃষ্টি হল। তিনি ব্যাগ্র হয়ে একটি
চাদর উঠিয়া তার সাথের ভক্তটিকে দিয়ে বললেন - কুকুরের উপর ঢাকনা দিয়ে আস।
ঠান্ডায় কষ্ট পাইতাছে।
একজন আশ্রিত বলল - ঠাকুর আপনার শ্রীদেহেও ঠান্ডা লাগছে; এজন্যই আপনাকে এই চাদরটি দেওয়া। আপনি নিজে গায়ে না দিয়ে কুকুরের গায়ে ঢাকনা দিতে বললেন, তাহলে কি আমার গুরুদক্ষিনা আপনি গ্রহণ করলেন না?
ঠাকুর হেসে বললেন - সর্ব জীবেই আমি আছি, আমার আশ্রিত সবাই সমান, তাই কুকুর চাদরটি গায়ে দিলে আমারই গায়ে পরা হবে।
এ কথায় আশ্রিত শিষ্যটি এবার সত্যিই প্রীত হলেন। ঠাকুরকে পুনরায় নমস্কার করে বেরিয়ে গেলেন। চলল নাম দান অনুষ্ঠান সারা দিন এমনকী গভীর রাত পর্যন্ত।
একজন আশ্রিত বলল - ঠাকুর আপনার শ্রীদেহেও ঠান্ডা লাগছে; এজন্যই আপনাকে এই চাদরটি দেওয়া। আপনি নিজে গায়ে না দিয়ে কুকুরের গায়ে ঢাকনা দিতে বললেন, তাহলে কি আমার গুরুদক্ষিনা আপনি গ্রহণ করলেন না?
ঠাকুর হেসে বললেন - সর্ব জীবেই আমি আছি, আমার আশ্রিত সবাই সমান, তাই কুকুর চাদরটি গায়ে দিলে আমারই গায়ে পরা হবে।
এ কথায় আশ্রিত শিষ্যটি এবার সত্যিই প্রীত হলেন। ঠাকুরকে পুনরায় নমস্কার করে বেরিয়ে গেলেন। চলল নাম দান অনুষ্ঠান সারা দিন এমনকী গভীর রাত পর্যন্ত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন