বিমলপদবাবুর বড় ভাইয়ের অকাল প্রয়ান হইল। সংসারের যাবতীয় দায় দায়িত্ব
তাঁহার কাঁধে পড়িল। এদিকে তাঁহার চাকুরী নাই, কোন রোজগার ও নাই। মাথা খারাপ
হইয়া যাওয়ার উপক্রম। অনেকদিন হইল ঠাকুরের দর্শনও পাইতেছেন না। হায় ঠাকুর,
হায় ঠাকুর করিয়া ঘুরিয়া বেড়াতেছেন। পরে খবর পাইয়া ঠাকুরের কাছে গেলেন।
প্রথম দর্শনেই বলিলেন, "ঠাকুর মশাই আমি ভগবান টগবান মানি না -আমারে অর্থ
দেন। আমার অর্থ চাই।"
তাহা শুনিয়া ঠাকুর মহাশয় শান্তিভাবে বলিতে লাগিলেন, -"হ, ভগ মানে ঐশ্বর্য্য, বান মানে ময়, ঐশ্বর্য্য ময়রেই ভগবান কয়।"
তবুও বিমলপদবাবুর এক কথা, "আমারে অর্থ দেন না হইলে কাউরে খাইতে দিতে পারুম না।"
এই কথা শুনিয়া ঠাকুর মহাশয় রাগিয়া গেলেন। ক্রোধ ভরে কহিলেন, "কি কইলেন, খাইতে দেয়নের মালিক আপনে নাকি! কর্ত্তৃত্ব অভিমান থাকলে একজনেরও খাইতে দিতে পারবেন না। জাইনা রাখেন যার যার ভাগ্যেই খাইয়া থাকে।"
ঠাকুরকে ভয়ও পাইতেন। ঠাকুর মহাশয়ের ক্রোধ দেখিয়া চুপ হইয়া গেলেন বিমলাপদ বাবু।
পরের রাত্রে বিছানায় শুইয়া আছেন। সামান্য তন্দ্রার মধ্যে বিমলাপদ বাবু দেখিলেন ঠাকুর বিছানার পার্শ্বে দাঁড়াইয়া তাহাকে বলিতেছেন, "কাল সকালে আপজন কোম্পানিতে যাইয়া দেখা করেন। ওরা জার্মানি, ঐখানে একটা জায়গা খালি আছে, কাম হইয়া যাইবো।"
পরের দিন তাহাই হইল। আপজন কোম্পানিতে বিমলাপদ বাবুর চাকুরী হইয়া গেল। ওই চাকুরীতেই বিমলাপদবাবুর সংসারে অর্থ স্বাচ্ছন্দ্য ফিরিয়া আসিল।
তাহা শুনিয়া ঠাকুর মহাশয় শান্তিভাবে বলিতে লাগিলেন, -"হ, ভগ মানে ঐশ্বর্য্য, বান মানে ময়, ঐশ্বর্য্য ময়রেই ভগবান কয়।"
তবুও বিমলপদবাবুর এক কথা, "আমারে অর্থ দেন না হইলে কাউরে খাইতে দিতে পারুম না।"
এই কথা শুনিয়া ঠাকুর মহাশয় রাগিয়া গেলেন। ক্রোধ ভরে কহিলেন, "কি কইলেন, খাইতে দেয়নের মালিক আপনে নাকি! কর্ত্তৃত্ব অভিমান থাকলে একজনেরও খাইতে দিতে পারবেন না। জাইনা রাখেন যার যার ভাগ্যেই খাইয়া থাকে।"
ঠাকুরকে ভয়ও পাইতেন। ঠাকুর মহাশয়ের ক্রোধ দেখিয়া চুপ হইয়া গেলেন বিমলাপদ বাবু।
পরের রাত্রে বিছানায় শুইয়া আছেন। সামান্য তন্দ্রার মধ্যে বিমলাপদ বাবু দেখিলেন ঠাকুর বিছানার পার্শ্বে দাঁড়াইয়া তাহাকে বলিতেছেন, "কাল সকালে আপজন কোম্পানিতে যাইয়া দেখা করেন। ওরা জার্মানি, ঐখানে একটা জায়গা খালি আছে, কাম হইয়া যাইবো।"
পরের দিন তাহাই হইল। আপজন কোম্পানিতে বিমলাপদ বাবুর চাকুরী হইয়া গেল। ওই চাকুরীতেই বিমলাপদবাবুর সংসারে অর্থ স্বাচ্ছন্দ্য ফিরিয়া আসিল।
ছন্নাবতার শ্রীশ্রী রামঠাকুর
শ্রী সদানন্দ চক্রবর্তী
পৃষ্ঠা: ৪৩৮
শ্রী সদানন্দ চক্রবর্তী
পৃষ্ঠা: ৪৩৮
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন