শুক্রবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৫


 মহারাজকে দর্শন ও তাঁহার কুশল সংবাদ যাদবপুরের শ্রীধামে জানিতে গেলে একদিন তিনি বলিলেন, "শ্রীশ্রী ঠাকুরের চিত্রপটের শ্রীদেহে কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে চন্দন দ্বারা, 'সজ্জিত না' করাই উচিত, পরিবর্তে ফুলের মালা ব্যবহার করা সমীচীন।" তখন মনে প্রশ্ন জাগে আমি বিনীতভাবে মহারাজ জীউকে জিজ্ঞাসা করিলাম, "আমাদের বাসায় দয়াল ঠাকুরের যে শ্রীচরণ আছে, যাহাতে নিত্যপূজা করা কালীন যে চন্দনসহ তুলসীপত্র ও পুষ্পাদী অর্পণ করা হয় সেইক্ষেত্রে আমাদের কি করণীয়, যদি দয়া করিয়া একটু বলিয়া দেন তবে সার্থক প্রথায় পূজা করিতে পারি। উত্তরে মহারাজ বলিলেন, "চন্দনসহ তুলসীপত্র ও পুষ্পাদি শ্রীশ্রী ঠাকুরের শ্রীচরণে নিশ্চয়ই দিবা, কিন্তু পূজার অন্তে সেই চন্দন অবশ্যই মুছাইয়া দিবা, তাহা না করিলে ঠাকুরের অস্বস্তি বোধ হয়। তাই বইল্যা নিজ অঙ্গের পরিহিত বস্ত্রাদির দ্বারা কখনওই মুছাইও না। একটি ভিজা রুমাল দিয়া মুছাইয়া দিও।" ইহা শ্রবনে আমার মনের সকল সংশয় দূরীভূত হইল।
স্মরনিকা

চতুর্থ মহারাজ শ্রীমত ভবতোষ বন্দ্যোপাধ্যায়- এর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য
"স্মৃতি তর্পণ"
শ্রীদূর্গাশংকর মুখোপাধ্যায় (শংকর)
পৃষ্ঠা: ৬৩

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন