শ্রী শ্রী ঠাকুর সকল ধর্মাবলম্বী লোককেই শ্রদ্ধার চোখে দেখিতে আমাদিগকে
পুনঃ পুনঃ উপদেশ দিয়াছিলেন। এমন কি সকল জীবের মধ্যেই আত্মা বা প্রাণ শক্তি
একই, যদিও বিভিন্ন আবরণে আবৃত হওয়ায় প্রত্যেকের ভিন্ন ভিন্ন উপাধি ও নাম
প্রচার হইয়া থাকে এবং প্রকৃতিও বিভিন্ন হয় বলিয়া তিনি প্রকাশ করিয়াছেন।
এমতাবস্থায় কাহাকেও অশ্রদ্ধা করা সম্পূর্ণ ভ্রান্তি। তাঁহার হিন্দু,
মুসলমান, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ আদি নানা সম্প্রদায়ের ভক্তই আছেন। কিন্তু তিনি
কাহাকেও তাঁহাদের নিজ ধর্ম্ম ত্যাগ করিতে বলেন নাই। বরং অনেক সময়েই
বলিতেন. 'যার যেই ভাব, সেই সর্ব্বত্তম।' এই সমস্ত নানা কারণেই তিনি সকল
ধর্ম্মের লোককেই আকৃষ্ট করিয়াছিলেন। যিনি একবার সশ্রদ্ধ ভাব লইয়া গিয়া অতি
অল্প সময়ের জন্যও তাঁহার সান্নিধ্যের সুযোগ পাইয়াছেন, তিনিই তাঁহার প্রতি
প্রোগাঢ ভক্তি শ্রদ্ধার ভাব লইয়া আসিয়াছেন। বহু ক্ষেত্রে ইহাই আমার
ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা। এই কারণেই সম্ভবতঃ তাঁহার বাত্সরিক জন্ম উত্সবে ও
তাঁহার সম্পর্কীয় অন্যান্য অনুষ্ঠানে পাকিস্তান সরকার সকল সময় আমাদিগকে
আশাতীত সাহায্য করিয়া আসিতেছেন।
অন্য ধর্মালম্বীর তো কথাই নাই, যাঁহারা ঈশ্বর বিশ্বাসী নহেন বলিয়া লোকে প্রচার করে, তিনি তাঁহাদিগকে নিন্দাসূচক কোন আখ্যা দিতেন না। একদিন আমাদের ঠাকুর ঘরে অনেক লোকের সমক্ষে একজন ভদ্রলোক বলিয়ে ফেলিলেন, যে অমুক লোক একেবারেই নাস্তিক। তাহাতে ঠাকুর বলিলেন, 'নাস্তিক তো ভালই।'
অন্য ধর্মালম্বীর তো কথাই নাই, যাঁহারা ঈশ্বর বিশ্বাসী নহেন বলিয়া লোকে প্রচার করে, তিনি তাঁহাদিগকে নিন্দাসূচক কোন আখ্যা দিতেন না। একদিন আমাদের ঠাকুর ঘরে অনেক লোকের সমক্ষে একজন ভদ্রলোক বলিয়ে ফেলিলেন, যে অমুক লোক একেবারেই নাস্তিক। তাহাতে ঠাকুর বলিলেন, 'নাস্তিক তো ভালই।'
~শ্রী শুভময় দত্ত।
"শ্রীশ্রীঠাকুর রামচন্দ্র দেব স্মরণে।"
"শ্রীশ্রীঠাকুর রামচন্দ্র দেব স্মরণে।"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন