শনিবার, ১১ জুলাই, ২০১৫

মজঃফরপুরে যে বাড়িতে আমরা ছিলাম সেখানে গৃহস্বামীর অনেক জিনিস ছিল। আমার শয়ন ঘরের দেওয়ালে একখানি ভারী 'তরবারি' ঝুলান ছিল। তরবারিখানিতে মরিচা ধরিয়া আছে। এক রবিবার সকালে এই তরবারিখানি নীচে নামাইয়া বারান্দায় বসিয়া পরিষ্কার করিতেছিলাম। তরবারিখানির ওজন কমপক্ষে সের পাঁচেক হইবে। এই সময় ঠাকুর বেড়াইয়া ফিরিলেন, তরবারিখানি দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, "এই তলোয়ারখানা কোথায় পাইলেন?"
এই কথা বলিয়াই তরবারিখানি হাতে লইলেন এবং ঘুরাইতে আরম্ভ করিলেন। একবার বগলের নিচ দিয়ে একবার পায়ের তলা দিয়া লাফাইয়া লাফাইয়া প্রবল বেগে ঘুরাইতে লাগিলেন। ঠাকুরের দৈহিক শক্তি দেখিয়া আশ্চর্যান্বিত হইলাম। কিছুক্ষণ পরে থামিয়া ঠাকুর বলিলেন, "এইভাবে অসুর বধ করা হইয়াছে।"আমার শরীরেও বেশ শক্তি ছিল, ঐ তরবারিখানি আমি চার-পাঁচবারের বেশি ঘুরাইতে পারিলাম না।
~শ্রীগুরু শ্রীশ্রী রামঠাকুর
শ্রীরোহিনী কুমার মজুমদার।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন