আমার গৃহে যেদিন প্রথম উত্সব অনুষ্ঠিত হয় সেদিন শ্রীশ্রী ঠাকুর উপস্থিত
ছিলেন। কীর্ত্তন আরম্ভ হইয়াছে, পূজার সমস্ত উপকরনও জোগাড় হইয়াছে কিন্তু
পুজারী পাওয়া যাইতাছে না। ঠাকুরকে জিজ্ঞাসা করিলাম, "সবই তো ঠিক হয়েছে,
পূজা করবে কে?" ঠাকুর বলিলেন, "কেন? আপনে কি পূজা করিতে পারিবেন না?" আমি
বলিলাম, "আমি তো ব্রাহ্মন নই, আমার পূজায় ব্রাহ্মন গণ আপত্তি করিবেন, হয়তো
তাঁহারা আমার উত্সর্গীকৃত ভোগের প্রসাদ গ্রহণ করিবেন না। " ঠাকুর বলিলেন,
"আজ প্রসাদ লইতে যদি কেহ আপত্তি করে, জানিবেন তাহার ভাগ্যে প্রসাদ
নাই।" একটু হাসিয়া আবার বলিলেন, "আপনার মন্ত্র জানিবার কোন প্রয়োজন নাই,
যেভাবে ভোগ দেন, সেই ভাবেই দিবেন, তার চেয়ে ভালো মন্ত্র আর নাই, পূজায়
যাইয়া বসেন, যাহা করিতে হয় আমিই করিব।" পূজা সুষ্ঠু ভাবে সমাধা হইল,
কীর্ত্তন প্রায় রাত্রি বারোটা পর্যন্ত চলিয়াছিল। বহু লোকের সমাগম হইয়াছিল,
জাতি-ধর্ম্ম-নির্ব্বিশেষে সবাই সানন্দে প্রসাদ গ্রহণ করিয়াছিলেন। সেই দিন
হইতে প্রত্যেক বাড়িতে আমিই পূজা করিতাম, আমার অনুপস্থিতিতে ঠাকুরের আশ্রিত
অন্য কোন গুরুভ্রাতা পূজা করিতেন।
~শ্রীগুরু শ্রীশ্রী রামঠাকুর
শ্রীরোহিনী কুমার মজুমদার।
~শ্রীগুরু শ্রীশ্রী রামঠাকুর
শ্রীরোহিনী কুমার মজুমদার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন