"বাবা- এই বিশ্বসৃষ্টির রহস্য কি? সৃষ্টির সার্থকতা কোথায়?" ঠাকুর উত্তর
দিলেন, চির চৈতন্যময় এক বিরামহীন ও উত্থানপতনবিহীন শাশ্বত বিন্দুনাদের
সুরবিতান অংশাতীতভাবে চিন্ময় রূপে প্রকৃত বিশ্বব্রহ্মান্ডে, অপ্রাকৃত
ভগবদ্ধামাদিতে এবং ব্যোম, পরব্যোম, ব্যোমাতীত ধাম ব্যাপী চলতেছে। এইটাই
সৃষ্টি রহস্য। এই যে প্রাণময় অখন্ড বিন্দুনাদ লহরী চলতেছে, এর সঙ্গে
প্রাণীর অন্তর্নিহিত সুবিতান মিশাইয়া এক তান কইরা নিতে পারাই হইল
বিশ্বসৃষ্টির সার্থকতা। এক করতে না পারলে দুই থাইকা যায়। অদ্বৈত হয় না।
দ্বৈত থাইকা গেলে কর্তৃত্ব থাইকা যায়। আমি
এবং আমার ভাবে বিভাবিত থাইকা অমিল অযোগ হইয়া পড়ে। বিয়োগে থাকে। বিয়োগে
থাকলে সৃষ্টি রহস্য সার্থকতাবিহীন হইয়া পড়ে। সর্ব্বব্যাপী বিন্দুনাদের
সুর-মূর্ছনার সঙ্গে জীবের অন্তর্নিহিত সুর-মূর্ছনা একতানে ও সুরে মিলাইয়া
নিতে পারলে এক হইয়া সৃষ্টি সার্থকতা লাভ করে। এই বলিয়া ঠাকুর নীরব হইলেন।
সকলে প্রস্থান করিলেন।
রামভাই স্মরণে
শ্রী ফনিন্দ্রকুমার মালাকার
পৃষ্ঠা: ১১১
শ্রী ফনিন্দ্রকুমার মালাকার
পৃষ্ঠা: ১১১
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন