সোমবার, ১৩ জুলাই, ২০১৫



'শ্রীশ্রী রামঠাকুরের কথা', মহেন্দ্র চন্দ্র চক্রবর্তী পৃষ্ঠা ৪০/৪১ থেকে রামঠাকুরের আধ্যাত্মিক শক্তি সম্বন্ধে তথ্য পাওয়া যায়। 'তাঁহার শান্তিপুরস্থিত নিজ বাড়িতে ঠাকুর কতদিন বাস করিয়াছিলেন। তত্কালীন ঠাকুরের দুই-একটি বিভূতির পরিচয় তিনি নিজেই পাইয়াছেন। তাঁহার বাড়িতে জ্যেঠা গোপীনাথ নামে এক বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত। ঠাকুর গোপীনাথের সেবা পুজাদি করিতেন। তাঁহার সেবা-পূজায় পাষান দেবতা গোপীনাথ জাগ্রত দেবতায় পরিনত হইয়াছিলেন। ঠাকুর মন্দির দ্বার রুদ্ধ করিয়া রাখিতেন। বাহির হইতে শুনা যাইত মন্দিরের অভ্যন্তরে মধুর নূপুর ধ্বনি হইতেছে, কে যেন নৃত্য করিতেছে।
গোপীনাথের সান্ধ্যভোগের বরাদ্দ ছিল এক জোড়া সন্দেশ। একদিন ঠাকুর শান্তিপুরের অনেককেই আমন্ত্রণ করিলেন গোপীনাথের প্রসাদ গ্রহনের জন্য। মুখোপাধ্যায় মহাশয় ইহার কোনো খবরই জানিতেন না। সন্ধ্যার পর লোক প্রসাদ পাওয়ার নিমিত্ত উপস্থিত হইলে তিনি অপ্রতিভ হইলেন। কিন্তু ঠাকুর বলিলেন, তাঁহার উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নাই। উপস্থিত মত যাহা হয় বিধি ব্যাবস্থা করা যাইবে। আশ্চর্যের বিষয়, গোপীনাথের অফুরন্ত ভান্ডার - উপস্থিত প্রত্যেকেই গোপীনাথের প্রসাদ এক জোড়া করিয়া সন্দেশ পাইলেন। কিন্তু এক জোড়া সন্দেশ তখনও তাঁহার পাত্রেই রহিয়া গেল। সকলে ইহাতে চমত্কৃত হইল। দামোদর মুখোপাধ্যায় মহাশয় বলিয়াছেন ঠাকুর তত্কালে সুক্ষ্মদেহে বিচরণ করিতেন। একই সময়ে কলিকাতা ও সিমলায় ঠাকুরকে দেখা গিয়াছে।'

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন