রামঠাকুর ছোটদের খুব ভালবাসতেন। ভক্তের বাড়িতে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা থাকলে
তিনি তাদের সাথে খুব মজা করতেন। আর ছোটরাও তাঁর কাছে নানান আবদার করতেন।
এমনি অনেক ঘটনার দু-একটা ঘটনা শুনাচ্ছি..."একান্নবর্ত্তি পরিবার, ছোট ছোট
ভাইবোন সবাই একসাথে থাকি। সেই সময় ঠাকুর আমাদের বাড়িতে মাসখানেক ছিলেন।
ঠাকুরকে আমরা আমাদের প্রিয়জন বলেই মনে করতাম। স্নানের পর আমরা নিজেদের গায়ে
পাউডার দিতাম- কিন্তু ঠাকুরকে গায়ে পাউডার দেওয়ার কথা কেউ বলে না। আমরা
ভাইবোনেরা ঠিক করলাম ঠাকুরের গায়ে পাউডার মাখিয়ে দেবো। আমাদের
আবদার ঠাকুরের কাছে নিবেদন করলাম। আবদার সঙ্গে সঙ্গেই মঞ্জুর। আমরা
পরমানন্দে ঠাকুরকে পাউডার মাখিয়ে পরিপাটি করে সাজিয়ে দিলাম। আমাদের আনন্দ
আর ধরে না। আমাদের আনন্দ দেখে ঠাকুর ও খুব খুশি হলেন।...(স্মৃতির দর্পনে,
প্রকাশ "শবরী", লেখিকা জ্যোত্সনা জোয়ারদার।)
...ঠাকুর মশাই তখন পূর্ব পাকিস্তানের (বাংলাদেশ) চাঁদপুরে এক পরিচিত ভক্ত বাড়িতে ছিলেন। ..."ঠাকুর আছেন, তাই উত্সবও চলছে আর ভক্তদের অবিরাম আনাগোনাও চলছে। এহেন সুন্দর পরিবেশেও মুশকিলে পড়তে হলো বাড়ির ছোট ছেলেটিকে। কারণ সে স্নান করে এসেছে ঠিকই। কিন্তু ভেজা প্যান্টটি পাল্টে শুকনো প্যান্টটি পরার মত একটু নিরিবিলি জায়গা কোথাও পাচ্ছে না। কিছুক্ষণ এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি পর ঠাকুরের ভেজান দরজা একটু ফাঁক করে দেখতে পেল বুকের উপর একখানা খবরের কাগজ রেখে ঠাকুর মশাই চোখ বুজে শুয়ে আছেন। চুপি চুপি ঠাকুরমশায়ের ঘরে ঢুকে যেই ভেজা প্যান্টটি ছেড়ে শুকনো প্যান্টটি পরার উপক্রম করলো অমনি ঠাকুর মশাই বিছানার উপর উঠে বসে হাততালি দিয়ে খিল খিল করে হাসতে হাসতে বললেন, "দেইখ্যা ফালাইছি, দেইখ্যা ফালাইছি।'' আর যায় কোথায়? শিশুটির পাল্টা জবাব, অসভ্য অসভ্য কোথাকার। চুপচাপ ঘুমিয়েছিল, আর আমাকে প্যান্ট পাল্টাতে দেখে অমনি উঠে বসেছে। একেবারে অসভ্য। শিশুটির বাবা-মা ছুটে এল। তাকে এই মারে তো সেই মারে। ঠাকুর মশাই একটু চুপ করে থেকে বললেন, "আপনারা আবার এর মধ্যে আইলেন ক্যান? আমি তো ওর লগে একটু মজা করত্যাছিলাম।" এই হলো আমাদের গুরু শ্রীশ্রী রামঠাকুর।"...("কিছু কথা" প্রকাশ "শবরী" ১৪১২ সন, লেখিকা শ্রীমতী রঞ্জু সাহা।)
...ঠাকুর মশাই তখন পূর্ব পাকিস্তানের (বাংলাদেশ) চাঁদপুরে এক পরিচিত ভক্ত বাড়িতে ছিলেন। ..."ঠাকুর আছেন, তাই উত্সবও চলছে আর ভক্তদের অবিরাম আনাগোনাও চলছে। এহেন সুন্দর পরিবেশেও মুশকিলে পড়তে হলো বাড়ির ছোট ছেলেটিকে। কারণ সে স্নান করে এসেছে ঠিকই। কিন্তু ভেজা প্যান্টটি পাল্টে শুকনো প্যান্টটি পরার মত একটু নিরিবিলি জায়গা কোথাও পাচ্ছে না। কিছুক্ষণ এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি পর ঠাকুরের ভেজান দরজা একটু ফাঁক করে দেখতে পেল বুকের উপর একখানা খবরের কাগজ রেখে ঠাকুর মশাই চোখ বুজে শুয়ে আছেন। চুপি চুপি ঠাকুরমশায়ের ঘরে ঢুকে যেই ভেজা প্যান্টটি ছেড়ে শুকনো প্যান্টটি পরার উপক্রম করলো অমনি ঠাকুর মশাই বিছানার উপর উঠে বসে হাততালি দিয়ে খিল খিল করে হাসতে হাসতে বললেন, "দেইখ্যা ফালাইছি, দেইখ্যা ফালাইছি।'' আর যায় কোথায়? শিশুটির পাল্টা জবাব, অসভ্য অসভ্য কোথাকার। চুপচাপ ঘুমিয়েছিল, আর আমাকে প্যান্ট পাল্টাতে দেখে অমনি উঠে বসেছে। একেবারে অসভ্য। শিশুটির বাবা-মা ছুটে এল। তাকে এই মারে তো সেই মারে। ঠাকুর মশাই একটু চুপ করে থেকে বললেন, "আপনারা আবার এর মধ্যে আইলেন ক্যান? আমি তো ওর লগে একটু মজা করত্যাছিলাম।" এই হলো আমাদের গুরু শ্রীশ্রী রামঠাকুর।"...("কিছু কথা" প্রকাশ "শবরী" ১৪১২ সন, লেখিকা শ্রীমতী রঞ্জু সাহা।)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন