বুধবার, ২৯ জুলাই, ২০১৫



তুলসীর স্থান
একজন ভক্ত স্নান করে ভেজা কাপড়ে চন্দন মাখা তুলসী নিয়ে ঠাকুরের দিকে এগিয়ে আসেন ঠাকুরকে তুলসী দেবার জন্য। এই দেখে ঠাকুর অনুগ্রহ করে তাঁর চরণ দু-খানি এগিয়ে দিলেন। কিন্তু অশ্রিতটি স্বচন্দন তুলসী পাতা নিয়ে ঠাকুরের বুকের দিকে লক্ষ্য রেখে অগ্রসর হতেই ঠাকুর জিগ্যেস করলেন -
এইগুলি কোথায় দিবেন?
আশ্রিত বৃদ্ধ উত্তর দিলেন- স্বচন্দন তুলসী পত্র বক্ষে দিব। 
ঠাকুর নিজের প্রসারিত পা দু'খানি দেখিয়ে বললেন- তুলসী পত্রের স্থান নারায়নের শ্রীদেহের অন্য কোথাও নাই, এইগুলির স্থান নারায়নের শ্রীচরণে।
ততক্ষণে ঠাকুরের প্রসারিত চরণে স্বচন্দন তুলসীপত্র দিয়ে অশ্রিতটি প্রনাম করলেন। পাশে বসেছিলেন শাস্ত্রী মশায়। এই ঘটনা দেখে তিনি প্রশ্ন করলেন-
বাবা তুলসী পত্র নারায়নের চরণে দিতে হয় কিন্তু নারায়ণ এদিকে তুলসীকে মালা করে নিজ কন্ঠে ধারণ করে রেখেছেন কেন?
ঠাকুর উত্তরে বললেন, আমি তোমাগরে অনেকবার কইছি। মন দিয়া শোন- তুল কথার অর্থ সম অর্থাৎ সমতুল্য। ভক্ত, ভক্তি, ভগবান তিনরূপে প্রতীয়মান হইলেও মূলত এক, অভিন্ন এবং সমতুল্য। অতএব মূর্তিমতি ভক্তি দেবী তুলসীরূপে সর্বদা নারায়নের চরনাশ্রয় বাঞ্ছা করেন বইলা তুলসী পাতা চরণে দিতে হয়। আর তুলসী নারায়ণ সমতুল্য বইলা নারায়ণ তুলসীর মালা কইরা সাদরে নিজ কন্ঠে ধারণ কইরা একত্বের প্রমান করছেন। ঠাকুর আরও বললেন- অমিত এইসব কথা আপনাগরে অনেক আগে কইছি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন