মঙ্গলবার, ১১ আগস্ট, ২০১৫


শ্রী অখিল রায় গিয়েছিলেন ভোলাগিরি মহারাজের কাছে দীক্ষা গ্রহণ করতে। তখন ভোলাগিরি মহারাজ অবস্থান করছেন সীতাকুন্ডে। সেখানে গিয়ে পৌঁছাতে অখিল বাবুর দুপুর গড়িয়ে গেছে। তিনি প্রনতি জানিয়ে শিষ্যদেরকে বললেন তার মনের কথা। শিষ্যরা আপ্যায়ন করে তাঁকে বসালেন, বললেন- ঠাকুর এই মাত্র ভোগ গ্রহণ করে বিশ্রাম ঘরে অবস্থান করছেন। নিদ্রা ভঙ্গ হলেই তাঁকে খবর দেওয়া হবে। অধীর আগ্রহে ঠাকুরের দীক্ষা পাবার জন্য অপেক্ষায় রইলেন শ্রী অখিল রায়। একসময় ভোলাগিরি মহারাজের নিদ্রা ভঙ্গ হল। খবর পেয়ে মহারাজ ডাকলেন অখিল রায়কে। বললেন-বেটা, তুম ক্যা মাংতে হো?
অখিল রায় বললেন- মহারাজ, আমি মন্ত্র চাই। আপনি আমাকে মন্ত্র দিন।
মহারাজ উত্তরে বললেন- বেটা, হমারে পাস তুমহারা লিয়ে মন্ত্র নেহী হ্যায়। রাম আতে হ্যায়, রাম তুমকো মন্ত্র দেংগে।
অখিলবাবু জিগ্যেস করলেন- তিনি কখন আসবেন?
মহারাজ জবাব দিলেন, বেটা তুমকো ঢুণ্ডনেকী জরুরত নেহি হোংগী, রাম হী তুমকো ঢুণ্ডলেংগে। তুম জানতে হো- বহ(উহ) কৌন হাঁয়? বহ(উহ) জগতকে দাঁড়ী হায়। বহ (উহ) দাঁড় ছোড়দে তো হমলোগ পঁহুচ নহি সকেংগে। দেবদেবী ভী উনকী সাহারে কে বিনা পঁহুচ নহী সকতে।
যার দিব্যদৃষ্টি আছে, তিনি সক্ষম হয়েছেন শ্রীশ্রী রামঠাকুরের স্বরূপ দর্শনে। এ ঘটনার কিছু দিন পরেই অখিল রায় লাভ করেন ঠাকুরের কৃপা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন